চীনের লং-মার্চ | চিনা কমিউনিস্টদের লং মার্চ এর উপর একটি টিকা লেখো।

 চিনা কমিউনিস্টদের লং- মার্চ এর উপর একটি টিকা লেখো। 

চীনের লং-মার্চ |  চিনা কমিউনিস্টদের লং মার্চ এর উপর একটি টিকা লেখো।

                                                                  চীনের লং-মার্চ


 মাও জে দং-এর লোকেদের কমিউনিস্টরা ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের অক্টোদেশ চিকন উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কমিউস্টের সঙ্গে যোগার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ-পূর্ব চিনসি প্রয়াস থেকে উত্তরে শেনসি যে পর্যন্ত দীর্ঘ ৬০০০ মাইল যাত্রাপথ, চিন তথ্য ইতিহাসে তা' লঙ্ক মার্চ বিখ্যাত। ঐতিহাসিক ইমান্যুয়েল সুরু লড়ের মার্চের গুরুত্বপূর্ণ লেখক, ক্ষমতার শীর্ষে মাওয়ের উত্থান ও ইতিহাসে এটি ছিল একটি ঘটনা। . পার্টির ইতিহাসে এবং ক্ষমতার চূড়ায় পাগলের উত্থানের ক্ষেত্রে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী।"


পটভূমিঃ

 কিয়াসি ও তার নিকটবর্তী কমিউনিস্ট প্রচন্ড উত্থাপিত হয়েছে প্রজাতন্ত্রী কমিউনিস্ট অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে সক্রিয় চিয়াং-কাইশেক আতঙ্কিত হওয়া তাদের দমন করার জন্য সেনা বলান (১৯৩৪ খ্রি.)। মধ্যবর্তী সময়ে জাপান মাঞ্চুরিয়াচ করে উত্তরের জোহাল পর্যন্ত পড়তে পড়তে। কিন্তু চিয়াং জাপানের এই আগ্রাসন কোন প্রতিকার না করে কমিউনিস্ট-নিধনে আরও সক্রিয় হয়ে উঠুন। এই কারণে তাদের সহকারী সদস্যদের জন্য উত্তর পদযাত্রাকারী কমিউনিস্ট গণ তাদের-পরিজন কিয়াং-সি বর্জন করে চিনে পীত বাকে অপেক্ষাকৃত শেখেনসি প্রদেশ অভিমুখে দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু করেন।


পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী গণ: 

মাও জে দঙ্ এবং চু-তের মিলিত প্রচেষ্টায় কমিউনিস্টদের ঐক্যবদ্ধ করে শুরু হয় লঙ্ মার্চ বা দীর্ঘ পদযাত্রা। লং মার্চ বা দীর্ঘ পদযাত্রায় প্রায় এক লক্ষ চিনবাসী অংশগ্রহণ করেন। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৫ হাজার জন ছিলেন সেনা (যারা এই আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন) এবং ১৫ হাজার জন ছিলেন সরকারি ও কমিউনিস্ট দলের কর্মী। এদের মধ্যে ৩৫ জন ছিলেন মহিলা।

লং- মার্চ-এর পুরত্ব:

 1)অভিজ্ঞতায় : দীর্ঘ পদযাত্রায় কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দের কাছে নতুন করে ধরা দেয় তাদের দেশ, দেশের মানুষ ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। ভবিষ্যৎ দেশগঠনের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা তাদের দারুণভাবে সাহায্য করে। [2] কষ্টসহিঞ্চুতায়: দীর্ঘ পদযাত্রার ওই অসহা পরিশ্রম চিনা কমিউনিস্টদের কষ্টসহিঞ্চুতা ও নিয়মানুবর্তিতা সম্বন্ধে নতুন করে শিক্ষা দেয়। যা পরে কুয়োমিনটাং বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের শক্তি জুগিয়েছিল। 3. অপ্রতিদ্বন্দ্বী মানসিকতা গঠনে : যে-কোনো প্রতিরোধ বা বাধাকে তুচ্ছ করে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় পুরুমানসিকতার সাহায্যে, তার উজ্জ্বল নিদর্শন এই পদযাত্রা। চিনের মাটিতে লালফৌজ যে অপ্রতিদ্বন্দী একনায়ক প্রমাণিত হয়।(4 )সহানুভূতি লাভে : দীর্ঘ ওই পদযাত্রায় কমিউনিস্টরা সাধারণ মানুষের কাছে আন্তরিকভাবেই সহানুভূতি ও সাহায্য লাভ করে। যা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রগঠনের ক্ষেত্রে তাদের বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। [5] দক্ষতা ও আস্থা অর্জনে লঙ্ মার্চ-এর ওই বিশাল সাফল্যের শেষে চিনা কমিউনিস্টরা যে-কোনো সংকটকে অতিক্রম করার মতো দক্ষতা ও আস্থা অর্জন করেছিল। এডগার স্নো-র মতে—লং মার্চ শুধুমাত্র নিরাপদ স্থানে পৌঁছোনোর প্রচেষ্টা ছিল না, তা ছিল একসঙ্গে দেশ,দেশবাসী এবং আরও অনেক কিছুকে নতুনভাবে আবিষ্কারের অভিযান।


পদযাত্রার বর্ণনা:

 ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ অক্টোবর কিয়াংসি প্রদেশ থেকে শুরুর পর্বের পদযাত্রা শেষ হয় পরের বছর ২০ অক্টোবর। দীর্ঘ সীমা ৩৭০ প্রবল দুঃখদুর্দশার মধ্যে ১৮টি গিরিশ্রেণি, ২৪টি গিরিশ্রেণে নদনদীজো করে যখন তারা শেনসি প্রদেশের ইয়েনা দেখেন দেখেন দিনে এক লক্ষ মানুষের ৯২ হাজার মৃত্যুবরন করেছেন। ছ-জার মাইলের ক্লিডিল ডিক্লাউড কোডহা তারা কোডার সাথে লড়াই করতে কোয়াং টুং, হুনান, কোয়াং সি কোয়োইচো, ইয়ান, সিকাৎ, জেকুরান কানসু, শেন প্রভৃতি ১১টি চিনা প্রদেশ।



Post a Comment

0 Comments