অনন্ত প্রসারিত সময়ের যাত্রাপথ। পথিক মানুষ সময়ের সেই পথে রেখা ধরে অগ্রসর হয়। অনন্ত সময়ের মতো মানুষ জীবন যদি অনন্ত হিন হত, তবে মানুষের কোন দুঃখ থাকতো না। সময় নিরবধি, কিন্তু মানুষ জীবন সংক্ষিপ্ত। এখানেই গরমিল। মানুষ চাই তার সংক্ষিপ্ত জীবন এর মধ্যে বহুতল কাজ সমাপ্ত করতে। কিন্তু সময় তা মঞ্জুর করে না। কর্ম সমাপ্তির পূর্বেই তার বিদায়ের ডাক এসে পড়ে। তাই মানুষের কাছে সময় অমূল্য ধন। কথায় আছে" সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়।" বাস্তবিকই নদীর স্রোতের মতো সময় ও দ্রুত চলমান। কোথাও সে স্থির থাকে না ,কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
সময়ের এই ধাবমান ও তার জন্যই জীবন মানুষের কাছে পরম মূল্যবান। এক প্রান্তে জন্ম ,অন্য প্রান্তে মৃত্যু। তাই কবি সুইনবার্ন বলেন: 'His life is a vision or a watch between a sleep and a sleep ." দুই প্রান্তেই ঘুম, ঘুমের মতো অন্ধকার। মাঝখানে শুধু একটুখানি চোখ মেলে চাওয়াই জীবন। জীবনের এই সীমাবদ্ধতার জন্য বাংলার লোক কবিও অশ্রু বিসর্জন করেছেন: ' এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা মধ্যিখানে চর।' এপারে জন্ম ,অন্য পারে মৃত্যু ;মাঝখানে একটুকু সংক্ষিপ্ত ,সীমাবদ্ধ চর-যার নাম জীবন। এই সীমাবদ্ধতার জন্যই জীবন আমাদের কাছে অমূল্য।
চলমান তার জন্যই সময় মানুষের কাছে একটি অমূল্য সম্পদ। অর্থবান লোকেরা ইচ্ছামত জগতের যে কোন দ্রব্য ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু সময় কে কয় করা যায় না। সময় মানুষের সকল ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। প্রত্যেক মানুষের উচিত সময়ের গুরুত্ব দেওয়া। সময়ের কাজ সময়ে করা। যে সময় চলে যায় সেই সময়ের একটা সেকেন্ড আমরা কোটি কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারব না। মানুষের যত বড় হয় ততই মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত সময়ের কাজ সময়ে করা।
দুর্লভ জীবনের এই সীমাবদ্ধ অবসরের সময় এর যে ভগ্নাংশ টুকু পাওয়া যায়, তার সদ্য ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন সার্থক এবং সুখময় হয়ে ওঠে। কাজেই, জীবনের সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যেটুকু সময় আমরা পাই, তা যদি অবহেলা করি, যদি আলস্যভরে সেই দুর্লভ সময় কাটিয়ে দিই বিনা কাজে, তাহলে তা হলো সময়ের মুর অপচয়। সেই অপচয় এর বেদনা আমাদের জীবনে একদিন মর্মান্তিক দুঃখের আকারে নেমে আসবে। তখন বুক ফাটা আর্তনাদে কিংবা অজস্র অশ্রু বর্ষণে কিংবা অনুতাপের অন্ত দা হে সেই সময় আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
আসল কথা হলো, সময় এর যথার্থ মূল্যবোধই জীবনের সাফল্য অর্জনের প্রথম সোপান। সময়ের মূল্যবোধ হল, যেসময়ের যে কাজ, সেই সময়ে তা সম্পাদন করা। যে তা করে না, সে করে সময়ের অমর্যাদা- সময়ের অপচয়; পরাজয় হয় তাঁর জীবনের ভাগ্যলিপি। যে কৃষক ফসলের ঋতুতে বীজ বপন না করে আলস্য সময় অতিবাহিত করে, ফসল ওঠার সময় সে কিরূপে আশা করতে পারে খামার পূর্ণ সোনালী ফসল? কবে অতীত হয়ে গেছে বীজ বপনের উপযুক্ত সময়, কবে সমাপ্ত হয়ে গেছে ফসলের ঋতু। এখন কেঁদে বুক ভাসালো কিছুই হবে না। মানব জীবনে ও সেই এক কথা। জীবনে যখন শান্তি থাকে, সামর্থ্য থাকে, মাটি উর্বর থাকে, তখন আলস্যে অযথা কাল হরণ করে জীবন কাটালে জীবন সায়ান্নে অবশ্যই দুঃখ ভোগ করতে হবে। কাজেই, রোদ থাকতে ধান শুকিয়ে নিতে হবে।--'Make your hay,when the sun shines.'
কাজেই, কে কত দীর্ঘ বেঁচেছে, তা বড় কথা নয়; কে জীবনে কত মহৎ উদযাপন করেছে, তাই বড় কথা। শৈশবে কর্ম জীবনে প্রবেশ এর তোরণ- দার। এই সময় জীবনের প্রস্তুতির কাল। ভবিষ্যৎ কর্ম জীবনের সকল দায়িত্বভার বহন এর যোগ্যতা এই সময় এই অর্জন করতে হবে। শৈশবকালের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযত ভাবে ব্যবহার করলে, এবং অমূল্য সময়ের অপচয় না করে প্রতিটি দুর্লভ মুহূর্তকে জীবন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে পরবর্তীকালে সুখ ও শান্তি--দুই-ই পাওয়া যাবে। শৈশবেই আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, সময় অমূল্য রতন। সেই অমূল্য রতন রয়েছে আমাদের সকলেরই হাতেই। তাকে কাজে লাগাতে পারলেই হবে তার পরম সদ্ব্যবহার। আবাল্য অভ্যাসের দাঁড়ায় দুর্লভ সময়ের সেই সদ্ব্যবহারের আয়ত্ত করা যায়; সেই অভ্যাসের ফলে জীবনে আসে সময়ানুবর্তিতা। সময়ানুবর্তিতা এ জীবনে সাফল্য লাভের চাবিকাঠি এবং সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে কল্যাণ পুত কর্মেই দুর্লভ এই মানব প্রজন্মের চরম সার্থকতা।।
সময়ের এই ধাবমান ও তার জন্যই জীবন মানুষের কাছে পরম মূল্যবান। এক প্রান্তে জন্ম ,অন্য প্রান্তে মৃত্যু। তাই কবি সুইনবার্ন বলেন: 'His life is a vision or a watch between a sleep and a sleep ." দুই প্রান্তেই ঘুম, ঘুমের মতো অন্ধকার। মাঝখানে শুধু একটুখানি চোখ মেলে চাওয়াই জীবন। জীবনের এই সীমাবদ্ধতার জন্য বাংলার লোক কবিও অশ্রু বিসর্জন করেছেন: ' এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা মধ্যিখানে চর।' এপারে জন্ম ,অন্য পারে মৃত্যু ;মাঝখানে একটুকু সংক্ষিপ্ত ,সীমাবদ্ধ চর-যার নাম জীবন। এই সীমাবদ্ধতার জন্যই জীবন আমাদের কাছে অমূল্য।
চলমান তার জন্যই সময় মানুষের কাছে একটি অমূল্য সম্পদ। অর্থবান লোকেরা ইচ্ছামত জগতের যে কোন দ্রব্য ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু সময় কে কয় করা যায় না। সময় মানুষের সকল ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। প্রত্যেক মানুষের উচিত সময়ের গুরুত্ব দেওয়া। সময়ের কাজ সময়ে করা। যে সময় চলে যায় সেই সময়ের একটা সেকেন্ড আমরা কোটি কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারব না। মানুষের যত বড় হয় ততই মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত সময়ের কাজ সময়ে করা।
দুর্লভ জীবনের এই সীমাবদ্ধ অবসরের সময় এর যে ভগ্নাংশ টুকু পাওয়া যায়, তার সদ্য ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন সার্থক এবং সুখময় হয়ে ওঠে। কাজেই, জীবনের সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যেটুকু সময় আমরা পাই, তা যদি অবহেলা করি, যদি আলস্যভরে সেই দুর্লভ সময় কাটিয়ে দিই বিনা কাজে, তাহলে তা হলো সময়ের মুর অপচয়। সেই অপচয় এর বেদনা আমাদের জীবনে একদিন মর্মান্তিক দুঃখের আকারে নেমে আসবে। তখন বুক ফাটা আর্তনাদে কিংবা অজস্র অশ্রু বর্ষণে কিংবা অনুতাপের অন্ত দা হে সেই সময় আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
আসল কথা হলো, সময় এর যথার্থ মূল্যবোধই জীবনের সাফল্য অর্জনের প্রথম সোপান। সময়ের মূল্যবোধ হল, যেসময়ের যে কাজ, সেই সময়ে তা সম্পাদন করা। যে তা করে না, সে করে সময়ের অমর্যাদা- সময়ের অপচয়; পরাজয় হয় তাঁর জীবনের ভাগ্যলিপি। যে কৃষক ফসলের ঋতুতে বীজ বপন না করে আলস্য সময় অতিবাহিত করে, ফসল ওঠার সময় সে কিরূপে আশা করতে পারে খামার পূর্ণ সোনালী ফসল? কবে অতীত হয়ে গেছে বীজ বপনের উপযুক্ত সময়, কবে সমাপ্ত হয়ে গেছে ফসলের ঋতু। এখন কেঁদে বুক ভাসালো কিছুই হবে না। মানব জীবনে ও সেই এক কথা। জীবনে যখন শান্তি থাকে, সামর্থ্য থাকে, মাটি উর্বর থাকে, তখন আলস্যে অযথা কাল হরণ করে জীবন কাটালে জীবন সায়ান্নে অবশ্যই দুঃখ ভোগ করতে হবে। কাজেই, রোদ থাকতে ধান শুকিয়ে নিতে হবে।--'Make your hay,when the sun shines.'
কাজেই, কে কত দীর্ঘ বেঁচেছে, তা বড় কথা নয়; কে জীবনে কত মহৎ উদযাপন করেছে, তাই বড় কথা। শৈশবে কর্ম জীবনে প্রবেশ এর তোরণ- দার। এই সময় জীবনের প্রস্তুতির কাল। ভবিষ্যৎ কর্ম জীবনের সকল দায়িত্বভার বহন এর যোগ্যতা এই সময় এই অর্জন করতে হবে। শৈশবকালের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযত ভাবে ব্যবহার করলে, এবং অমূল্য সময়ের অপচয় না করে প্রতিটি দুর্লভ মুহূর্তকে জীবন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে পরবর্তীকালে সুখ ও শান্তি--দুই-ই পাওয়া যাবে। শৈশবেই আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, সময় অমূল্য রতন। সেই অমূল্য রতন রয়েছে আমাদের সকলেরই হাতেই। তাকে কাজে লাগাতে পারলেই হবে তার পরম সদ্ব্যবহার। আবাল্য অভ্যাসের দাঁড়ায় দুর্লভ সময়ের সেই সদ্ব্যবহারের আয়ত্ত করা যায়; সেই অভ্যাসের ফলে জীবনে আসে সময়ানুবর্তিতা। সময়ানুবর্তিতা এ জীবনে সাফল্য লাভের চাবিকাঠি এবং সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে কল্যাণ পুত কর্মেই দুর্লভ এই মানব প্রজন্মের চরম সার্থকতা।।
0 Comments
If you like the posts, you must comment. and if there is any problem , please let me know in the comments.