চীনের শত দিবসের সংস্কার | একশত সংস্কার|
চিনে শত দিবসের সংস্কার আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল কেন?
১৮৭৪ সালে বালক সম্রাট তুং-চিরদিনের রোগভোগের পর মৃত্যুবরণ ঘটল। তাঁর হাত থেকে সক্রিয়তা জোরদার করা যায় না সেজন্য রাজমাতা ইউশি তুং চিরমৃত্যুকে নিশ্চিত করা লোকচক্ষুর অন্তরালে তাঁর ভগ্নীর তিন নারী শিশুকে চীনের এক সিংহাসনে বসিয়েছিলেন। নতুন শিশু সম্রাটের উপাধি ছিল কোয়াং সু (কুং হু)। সম্রাটের নাকবালত্বের সুযোগে রাজমাতা যুগি সমগ্র সাম্রাজ্যের উপর কর্তৃত্ব আরও দৃঢ় প্রতিষ্ঠা করেন। সেং-কুয়ো-কান, ইউশির নিজের প্রশাসনিক শক্তিকে দৃঢ়তার জন্য, ইউয়ান-সি-কাই প্রমুখ সেনাদের সাহায্য পেয়েছিলেন। তুরং-চির পর পর সমস্ত মধ্যীকরণের প্রয়াস স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। সাম্রাজ্ঞী ধারণা প্রাচীন কনফুসিয়া চিন্তাধারার অনুসরণ। সমগ্র প্রগতিবাদী চিন্তাধারা দমনে তিনি সচেষ্ট ছিলেন।
ইউশির স্বারাচারী ও প্রতিক্রিয়াশীল শাসন পরিণামে চীনের ব্যবহার ভয়ঙ্কর হয়েছে। ১৮৯৪-৯৫ সালে চীন তার প্রতিবেশী প্রধান রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করে নিয়েছিল। এই পরাজয় যেটা করতে পারে সেই পাল্টা মিডল শিক্ষাকে গ্রহণ করে তার চীনের কথা দ্রুত শিখতে পারে। এই পরাজয়ের পর পাশ্চাত্য শক্তিসমূহ আবার নির্লজ্জভাবে চায়না লুণ্ঠন শুরু করুন। তারা চীনকে তাদের পদানত দেশে পরিণত করতে অভিপ্রিয়াস চালু ছিল। চীনের বুদ্ধিজীবীরা এই সময় উপলব্ধি করেন যে চীনে সংস্কার না হলে চীনের প্রেম বিলুপ্ত হবে। চীনে সংস্কার আন্দোলনের পটভূমি তৈরি হয়েছিল।
১৮৯৮ সালে সম্রাট কোয়াং-সুবল হয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতে কোনো ক্ষমতা ছিল না। সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল রাজমাতা ইউশির হাতে। কিন্তু সম্রাট কোয়াং-সু দীর্ঘকাল ইউশির হাতের পুতুল হিসাবে আপনি রাজি ছিলেন না। দেশের বহু পদে ব্যক্তি বিশেষ করে দক্ষিণের চাই সম্রাটের হাতে ক্ষমতা অর্পণ না করা অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছিল। সম্রাট তাঁর নিজের ইচ্ছানুযায়ী সংজ্ঞার প্রমাণ ও সংস্কার প্রবর্তন করার জন্য ছিলেন। তাঁকে উদারপদী সভাসদরা সমর্থন করেন। কিন্তু প্রাচীন হরিপী রক্ষণশীলা চীনে মুসলিম সংস্কারের পার্টি না। তারা ইউশির প্রতি অনুগত ছিলেন। সেখানে সমস্ত মাহমুদতার লড়াই ছিল। এর ফলে রাজদরবার ক্রমশ ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।
১৮৯৮ ঘণ্টা মে প্রিন্সের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি তাঁর কর্মদক্ষতা ও চারিত্রিক মাধুর্যের জন্য সকলের কাছে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রভাব প্রগতিবাদী ও ক্ষণশীলরা পরস্পরের রক্ষনে কখনোই কোনো বিষয়ে নিয়ে যেতে পারে। তিনি প্রতিক্রিয়াশীল ইউশিকে কিছু সংস্কার প্রবর্তনের জন্য অনেক সময়। মনে তিনি সম্রাট কোয়াং-সুকে অকস্মাৎ কোনো ব্যবস্থা না নিতে চান। কিন্তু তার কারণ পর দুই পক্ষের ভরসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। তরুণ সম্রাট সংস্কারের প্রবক্তা কাং-ইউ-ওয়াই (কুং-ইউ-ওয়েই)-এর প্রভাব পড়েছিল। পরিণামে চীনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের গঠন হয়েছিল।
চীন-জাপান যুদ্ধে চীনের আনন্দদায়ক পরাজয়ের পর মনে মনে যে জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের যোগ রয়েছে। সর্বশক্তি বীরবীর গান ছিল, এই যুদ্ধে চীনের প্রধান কারণ পাকিস্তানের সাধারণ পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে গ্রহণ করা এবং চায়না রাজনীতিকে সাধারণ পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে পরিহার করা। তাই পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণের সংখ্যাটা। সম্রাট কোয়াং-সু এই গানের সহমত ছিলেন। এর ফলে প্রশাসন সংস্কারের চেষ্টা শুরু হয়েছিল। চীনে পাশ্চাত্য ধাঁচের সংস্কার প্রবর্তন মুখ্য প্রবক্তা ছিলেন কাং-ইউ-ওয়াই (১৮৫৮-১৯২৭)। তিনি ক্যান্টনের এক সম্ভ্রান্ত পন্ডিত বংশে জন্ম গ্রহণ করা। কনফুসীয় দর্শনে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য ছিল। তিনিফুসীয় দর্শনীয় দর্শনে প্রগতি দেখতে দেখতে কনফুসিয়ান। তাঁর কনফুসীয় দর্শনে স্থবির বিরাজিত সমাজের কথা বলা হয়নি। নিত্য পরিবর্তনশীল সমাজের কথা বলা হয়েছে। তিনি ঐতিহ্যগত সংঘাতের সাথে এটা চেষ্টা করেন যে চীনের প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাতের কোনো প্রচেষ্টা নেই। তিনি অষ্টাদশ শতকের ইউরোপীয় দর্শন ও চিন্তার দ্বারা বোঝান ছিলেন। তিনি পাশ্চাত্য সভ্যতাকে ভালো করার জন্য প্রাচ্য সাহিত্যকে অধ্যয়ন ঘটায়। তিনি ভারতে চীন পাশ্চত্য শিক্ষার প্রয়োজন কতটা প্রয়োজন। তিনি চীনে পাশ্চাত্য ধাঁচের প্রশাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য এক আন্দোলন শুরু। তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা মুসলিম শিক্ষা ও চিন্তাধারার কথা বলতে গেলেন কিন্তু মাঞ্চু প্রশাসনের জ্ঞান ছিল না। চীনে মধ্য চিন্তাধারা প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে তিনি কিছু গঠন করেন এবং বিভিন্ন পুস্তিকার মাধ্যমে তাঁর প্রচার করেন।
অন্য পোস্ট: সিয়াং-ফু ঘটনা সম্পর্কে টীকা লেখ।
মাঞ্চু শাকবর্গকে সংস্কারের উদ্যোগী করার জন্য তিনি ১৮৮৮ সালে মাঞ্চু দরবারে আবেদন জানান। কিন্তু প্রভাবশালী রাজদর নিয়োগ কর্মীরা এই আবেদনকে গুরুত্ব দেয়। এবং তারা এই আবেদনের কথা সম্বোধন করতে হবে। তিনি মনের গভীরে জ্ঞানজীবী হিসাবে না নাম তাঁর গুরুত্ব মাঞ্চ বারে না হবে। তাই তিনি তরুণদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনি তরুণদের মধ্যে গঠন করান এবং বুদ্ধিজীবী হিসাবে নিজেকে মনে করতে পারেন। চীনের হাতে চীনের পরাজয়ের পর চীনের শিমনোসিকি প্যান কর্তৃত্বে গঠন হয়েছিল। এই সময়ে কাং ১৮৯৫ সালে বহু জ্ঞানজীবীর বর্ণ সংবলিত এক স্মারকলিপি মাঞ্চু দরবারে। ঐ স্মারকলিপিতে জাপানের সঙ্গে মনোনীত শিমনোসিকে নাকচ বলা হয়। চীনের পুলিশ পিকিং থেকে সিয়ান নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আরও বিভিন্ন বিষয়ে মুসলিম সংস্কারের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মাঞ্চু দর তৈরি কর্মীরা এই স্মারকলিপিকে গুরুত্ব দেবার কোনো প্রয়োজনবোধ করেনি। তারা এই স্মারকলিপির কপি বিভিন্ন প্রাদেশিক দর্শকদের কাছে তাদের দায়িত্ব পালন শেষ করে। কাংগং দমে না গিয়ে সংস্কারের জন্য জনমত তৈরি করতে মন দিয়েছিলেন। তিনি চীনের বিভিন্ন পাঠচক্র বা স্টাডি সোসাইটি তৈরি করেন এবং বহু সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। এর দ্বারা তিনি চীনের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ধরে সংস্কারের গণতা প্রকাশ করেন। তিনি আর একটি স্মারক মাঞ্চু দরবারে পাঠান। রাজ্য তিনি দেশের নিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এবং সৈন্য প্রয়োগের প্রশিক্ষণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করার জন্য সম্রাটকে সম্রাট সম্রাট উত্তরাধিকার পেশ করতে। সদস্য সম্রাট কাং এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন পাঠচক্র বা স্টাডি সোসাইটি তৈরি করেন এবং অনেক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। এর দ্বারা তিনি চীনের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ধরে সংস্কারের গণতা প্রকাশ করেন। তিনি আর একটি স্মারক মাঞ্চু দরবারে পাঠান। রাজ্য তিনি দেশের নিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এবং সৈন্য প্রয়োগের প্রশিক্ষণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করার জন্য সম্রাটকে সম্রাট সম্রাট উত্তরাধিকার পেশ করতে। আপনি সম্রাট কাং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন পাঠচক্র বা স্টাডি সোসাইটি তৈরি করেন এবং বহু সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। এর দ্বারা তিনি চীনের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ধরে সংস্কারের গণতা প্রকাশ করেন। তিনি আর একটি স্মারক মাঞ্চু দরবারে পাঠান। রাজ্য তিনি দেশের নিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এবং সৈন্য প্রয়োগের প্রশিক্ষণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করার জন্য সম্রাটকে সম্রাট সম্রাট উত্তরাধিকার পেশ করতে। সদস্য সম্রাট কাং এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
১৮৯৮ বার সম্রাট কোয়ার্টার সাথে জুন ১৬-এর তারিখ হয়েছিল। পাঁচঘন্টা আলোচনার আলোচনা কাং সম্রাকে সংস্কারের গণনাটকে গণ্য করছি। সম্রাট কাং-এর প্রভাবে অনুভব করছিলেন। তিনি ১৮৯৮ সালের মধ্যভাগ থেকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে পর পর বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের উত্তর বাণীর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের কথা বলেছেন। এই সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্প, কৃষি এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর এই বহিঃপ্রকাশ্য ১০০-এর মধ্যে প্রচারিত হয়েছে বলে 'একশত সংস্কার'ক পরিচিত। চীন সম্রাট তাঁর আদর্শ হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন জাপানের মেজি সম্রাটকে এবং রাশিয়ার মহামতি পিটার গ্রেটকে। সঙ্গে ছিলেন সফল পশ্চিমীকরণ পূর্বকর্থ প্রবক্তা।
একশত সৌন্দর্য সংস্কারের পরিধি ছিল। সম্রাট তাঁর রাজকীয় বহির্বাণীর দ্বারা শিক্ষা, কৃষি শিল্প এবং সৈন্যদয়র আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এর সঙ্গে তিনি প্রতিবাদ সংস্কারের কথাও বলেছেন। কিন্তু সংঘটিত প্রচেষ্টা অকস্মাৎ বলে জনগণ সহজে মনে করতে পারে।
অন্য পোস্ট: আফিং-এর যুদ্ধে লিন্-সে-সুর ভূমিকা | Lin-se-sur's role in the opium war
রাজকীয় সংস্কার করা এটা যদি না হয় তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সংস্কার ফলাওক হবে না। শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য পিকিং-এ একটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে করা হয়েছিল এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক বহু স্কুলের ছাত্রদের কথা বলা হয়েছিল। পুরোনো ও অব্যবহৃত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিদ্যাচর্চাকে অঙ্গীভূত করা হয়েছিল। নিয়মিত পরীক্ষায় এই দুই বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হয়েছিল। বন্ধুদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা হয়েছিল, যাতে নতুন করে অনুপ্রেরণা পান। জনগণকে পাশ্চাত্য চিন্তাধারার সাথে যোগাযোগ করানোর জন্য বিভিন্ন ইউরোপীয় বিস্ময়কর পুস্তককে বিপ্লবী অনুবাদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। লিয়াচি-চাও- এর-এর অনুবাদ বিভাগ এই কাজটি। চীনের বিভিন্ন এলাকায় পাঠচক্র ও সংবাদপত্র প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
রক্ষণশীল বিরতি দূর করার জন্য এবং অজ্ঞান জনগণকে অবস্থা জানার জন্য রাজকীয় গেজেট মুদ্রণ এবং তা স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দ্রুত তৈরি করা হয়েছিল। ব্যক্তি আয়-ব্যয়ের সমান এবং আর্থিক নীতি সম্পর্কে জনগণকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রাদেশিক সরকারের সাথে আমার রাজনৈতিক ঘনি যোগাযোগের ব্যবস্থা হয়েছিল। জনগণ তাদের প্রতি অভিযোগ যাতে করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আরও অনেক দূরের জিনিষ কৃষির মধ্যে এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে যুগোপযোগী সংস্কারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উত্তর বাণী প্রচার করা হয়েছিল। শিল্প ও ব্যবসার বিকাশের জন্য বিভিন্ন গ্রুপ চেম্বার অফ কমার্স স্থাপিত হয়েছিল। চীনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অস্ত্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
১৮৯৮ সালের ৩০ আগস্ট এক পরবর্তী প্রচার প্রচারটি উচ্চ পদে রাজ বিলোপ করা হয়েছিল। এইদেশ এতদিন মাঞ্চু বংশীয় অভিজাত নিযুক্ত হতে। কিন্তু এই পদটি বিলুতিতে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মন্তব্য পড়েছিল এবং আমাদের তারা ক্ষুব্ধ হয়। তাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ ছিল। মাঞ্চু অভিবার্গ এই সময় থেকে এই উপলব্ধিটি নথিভুক্ত করার জন্য কিন্তু নিশ্চিতভাবে তাদের অর্জিত সুবিধা হবে। তাই তারা এই সংস্কার প্রচেষ্টার জন্য বিদা রানি ইউশির কাছে আবেদন করে। ইউশি ছিলেন প্রতিক্রিয়াশীল ও সংস্কারের সংগ্রাম। তিনি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি ধৈর্যের সাথে অবস্থা মোকাবিলায় দৃঢ় সংকল্পে ছিলেন। যখন তিনি শোধন সংস্কার প্রচেষ্টাকে সফল করার জন্য তাঁর হাত থেকে সমস্ত শক্তিকে গড়ে তোলার চেষ্টা তখন তিনি এই সংস্কার প্রচেষ্টার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সময়ে চীনের জন্য সতীন সুর ছিলেন ইউয়ান-সি কাই। তিনি ছিলেন ইউশির অনুগামী ভক্ত। রাজমাতা তাকে সাহায্যের জন্য আত্মান জানান। এই সময়ে সম্রাট কোয়াংসু অনুরোধ পড়েছিলেন। এই অবস্থার পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ইউয়ান-সি -কই-এর আপে যুবশির রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা গ্রহণ করুন এবং অনুরোধ সম্রাট আমৃত্যু বন্দি করে চলাফেরা করুন। সংস্কারের প্রবক্তা কাং-ইউ-ওয়াই সদস্য প্রধান হয়েছিলেন।
চিনে শত দিবসের সংস্কার আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল কেন?
একশত স্বাধীনতা সংস্কার বাতিলের কারণ
অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে চীন শতদিনের সংস্কার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এই সংস্কার প্রচেষ্টা শেষপর্যন্ত বদল হয়েছিল। ১৮৯৮-এর শতদিনের সংস্কার আন্দোলন শুরুর জন্য কারণ কারণ ছিল-
একশত স্বাধীনতা সংস্কার বল্ল প্রথমত,
যাঁরা সংস্কার আন্দোলনের নাম ছাত্রের মধ্যে ছিলেন বিশেষভাবে বিশেষভাবে। এবং তার প্রধান উপদেষ্টাং-ইউ-ওয়াই। সম্রাট কোয়ার্টার-সু বুড়ো তরুণ এবং ভিজ্ঞ। তারুণ্যের চঞ্চলতা তাঁর মধ্যে বড়োই প্রকট ছিল। দেশের মঙ্গল মূল্যায়ন ও প্রশাসন করার মতো যোগ্যতা তাঁর ছিল না। শতকরার পথকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার বিচক্ষণতার মধ্যে ছিল না। ভোট সম্রাট সংস্কারের প্রধান উপদেষ্টা কাং ছিলেন একজন স্বপ্নটা আদর্শবাদী ব্যক্তিত্ব। বাস্তবায়নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হবে সে সম্পর্কে তাঁর কোনো স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। কোনো কাজ করতে পারে না। শতদিনের সংস্কার আন্দোলনও তার আলাদা ছিল না।
একশত নিরাপত্তা সংস্কার বৈঠক হয়েছিল দ্বিতীয়ত,
এই সংস্কারকে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সাধারণ প্রতিনিধিরা এই সংস্কারের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই সংস্কার সমাজের উপরতলার মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তাই এই সংস্কার আন্দোলনের উত্তর কোনো স্বতঃস্ফূর্ত গণসমর্থন ছিল না। গণসমর্থন তীরেকে কোনো আন্দোলনের চূড়াতে উঠতে পারে না। চীনের শতদিবসের সংস্কারের ক্ষেত্রেও একই কথা।
একশত সংস্কার বৈঠক হয়েছিল
চীনের জনমত তখন ছিল অগঠিত ও অস্পষ্ট। সমাজের বুদ্ধিজীবী সীমাবদ্ধতা ও এক শ্রেণীর অংশ অবশ্য এ ধরনের সংস্কারকে মনে হয় স্বাগত জানাতে তারা কিন্তু গণসমর্থন এই সংস্কার প্রচেষ্টার ফলে জনসাধারণকে দেখাতে পারে না এই ভয়ঙ্কর এই আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য।
একশত নিজেকে সংস্কার করতে হয়েছিল
এই সংঘটিত কার্যকর হলে এতদিন পর্যন্ত ব্যক্তি বহু সুযোগ সুবিধা ভোগ করার বিধানকে অবসান হতে পারে এই ভয়ে ভীত হওয়া দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করতে পারে।
একশত সংস্কার ব্যবস্হা করা হয়েছিল মত,
সংস্কারকদের আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা এই আন্দোলনের পালতার কারণ। কৃষি উন্নয়নকে আদৌ গুরুত্ব দেন। সংস্কার নিয়ে তাদের কোনোচিন্তা ছিল না। স্বাধীন চীনের মতো কৃষিকাজ না দেওয়া কৃষিকে গুরুত্ব কতটা ভুল তা এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যায়।
একশত স্বাধীনতা সংস্কার সভা হয়েছিল,
সংস্কারের চেষ্টার সফলতার জন্য বিদেশীদের সাহায্য কামনার সময়। আশা ছিল জাপান ও কংগ্রেস তাদের সব ধরন সাহায্য করতে। কিন্তু সেখানে নিরাশ হয়েছিলেন। বিদেশি সামজ্যবাদী শক্তি কোনো দিনই চায়নি চীন। সেই । চাই যতটা থাকবে তাদের থাকবে। চীনকে শোষণ করাই তাদের লক্ষ্য। সাধারণ সংস্কার করা ইউয়ান-সি কাইকে বিশ্বাস করে ভুলটা।
একশত মতবাদ সংস্কার সভা হয়েছিল,
অন্য পোস্ট: চীনের লং-মার্চ | চিনা কমিউনিস্টদের লং মার্চ এর উপর একটি টিকা লেখো।
সংস্কার আন্দোলনের পালতার আর এক কারণ হল বিদা রানি ইউশির বিরোধিতা। ইউশি ছিলেন রাজনীতিবিদ। আপনার সমস্ত শক্তি ছিল যুবশির নিয়ন্ত্রণে। তাঁর মনোনীত ব্যক্তিরাই ছিলেন স্তম্ভ। তাঁর হেলনে সমগ্র রাজ্যগুলি ছিল। তাই রক্ষণশীল মনোভাবাপন্না ইউশির লাগাতার বিরোধিতা এই আন্দোলনের ভাগতার কারণ ছিল।
একশত মতবাদ সংস্কার বল্ল অষ্ট,
চীনের সাম্যবাদী ঐতিহাসিকদের সত্যিকার হল সংস্কার করার চেষ্টা করা চীনের আর্থ সমাজ আমূল পরিবর্তন আনার কোনো সার্থক করেন। তারা পুরোনো ব্যবস্থাকে বহাল করতে কিছু প্রগতিশীল সংস্কার কার্যকর করতে চেয়েছিলেন। তাইন আন্দোলন ভোটই ছিল স্বাভাবিক।
একশত সৌন্দর্য সংস্কার এর গুরুত্ব
এই সব বিধানের কারণে শতদিনের সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। বাচ্যচৈনিক ইতিহাসে এই আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
(১) সংস্কার আন্দোলনের দ্বারা চীনকে মানসিক চিন্তাধারার সাথে এই আন্দোলনের চেষ্টা করা হয়েছিল। চীনের বদ্ধ অচলায়তনের উপর এই সংস্কার সংকলন ছিল।
(২) এই আন্দোলনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই শিক্ষাল যে সংস্কার আন্দোলনকে সার্থক করতে হলে তার ওপর চাপ দিয়ে সংস্কার করা কার্যকর হবে না। সমাজের নীচুতলায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা না বাড়লে কোনো আন্দোলন সফল হবে না।
অন্য পোস্ট: চীনের বক্সার যুদ্ধের প্রকৃতি আলোচনা করো। | The nature of boxer revolution
(৩) এই আন্দোলনের পালতার ফলে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির শক্তিবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং তার ফলে বজার অভ্যুথান শুরু হয়েছিল। অপরদিকে এই আন্দোলন সংস্কার আন্দোলনের পালতার ফলে চীনের ব্যক্তি প্রগতিবাদীরা মাঞ্চু ব্যবস্থা সম্পর্কে স্থাপিত ছিল এবং তারা মনে করে বিপ্লব হারিয়ে চীনের অবস্থার মধ্যে পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই এই ঘটনার ১৯১১ তারিখ বিপ্লবের অঞ্চলকে উপস্থাপন। এই বিপ্লবের কর্ণধার ডাঃ-সেনের জিয়া সানে চায়না থেকে দুই বছরের রাজতন্ত্র পতন হয়েছিল এবং চীনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
*****ইতিহাস সহ আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর নোট পেতে চাইলে নিচে কমেন্ট করুন।******
0 Comments
If you like the posts, you must comment. and if there is any problem , please let me know in the comments.