মাঞ্চুরিয়া সংকট
ওয়াশিংটন সম্মেলনের পর জাপানি নেতারা অনুভব করেছিল যে সেই মুহূর্তে তাদের পক্ষে আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করা সম্ভব নয়। জাপানের শিল্পপতিরা সেই সময়ে অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রের সাথে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ না হয়ে শান্তিপূর্ণ অর্থনৈতিক অনুপ্রবেশকে অধিকতর কাম্য বলে মনে করেছিল। ১৯২২ সাল থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে জাপান দূরপ্রাচ্যে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে তার বাণিজ্যকে দারুণভাবে বাড়িয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু জাপানি সমরনায়ক ও রাজনৈতিক নেতা সমগ্র এশিয়ার ওপর জাপানি আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং এ ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল জাপানি সমরনেতাদের একাংশ।
অন্য পোস্ট: মানচুরিয়া সংকটে জাতিসংঘের ভূমিকা
১৯২৭ সালে সে-ইউ-কাই দলের নেতা জেনারেল তানাকা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন। এই সময় থেকে জাপানের রাজনীতিতে উগ্র সমরবাদ কার্যকর হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তানাকা ঘোষণা করেছিলেন জাপান বিদেশ নীতিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করবে। তিনি সমগ্র এশিয়াতে জাপানিদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি পরিকল্পনা রচনা করেছিলেন। তানাকা মেমোরিয়াল' (The Tanaka Memorial) নামে পরিচিত এই দলিলে বলা হয়েছিল যে মাঞ্চুরিয়ার ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারলে জাপান সেখানকার কাঁচামালের ওপর বিশেষ করে জাপানি শিল্পের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কয়লা ও লৌহখনি সমৃদ্ধ এক বিস্তৃত এলাকার ওপর আধিপত্য সৃষ্টি করতে পারবে। জাপানি শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য এইসব কাঁচামালের প্রয়োজন ছিল বেশি। তাছাড়া মাঞ্চুরিয়াতে জাপানি শিল্পজাত পণ্য বিক্রিরও যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। তাই তানাকা পরিকল্পনায় এশিয়া বিজয়ের প্রথম ধাপ হিসাবে মাঞ্চুরিয়া দখলের কথা বলা হয়েছিল।
এটা ঠিক যে মাঞ্চুরিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান জাপানকে মাঞ্চুরিয়া দখলে উৎসাহিত করেছিল। মাঞ্চুরিয়া ছিল কোরিয়া উপদ্বীপের উত্তরে জাপানের কাছাকাছি অঞ্চল।মাঞ্চুরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য ও ভৌগোলিক নৈকটা জাপানকে বহুদিন ধরেই আকৃষ্ট করে রেখেছিল। ১৯০৪-৫ সালে জাপান রাশিয়াকে পরাজিত করে মাঞ্চুরিয়ার ওপর তার প্রভাব অপ্রতিহত করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়াতে বলশেভিক বিপ্লব হয়েছিল। সোভিয়েত রাশিয়া সুদূর প্রাচ্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল। ওয়াশিংটন সম্মেলনে জাপানের অগ্রগমনকে স্তব্ধ করার যে প্রয়াস হয়েছিল। জাপান তাকে মানতে বাধ্য হয়েছিল। জাপানের এই থামা ছিল সাময়িক। মাঞ্চুরিয়া থেকে তার দৃষ্টি এতটুকু সরেনি।
১৯২৫ সালের পর চিয়াং-কাই-শেকের নেতৃত্বে কুয়ো-মিন তাং বা KMT দল সমগ্র চীনের ওপরে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এ ব্যাপারে KMT দল সাফল্য লাভও করেছিল। উত্তর ও দক্ষিণ চীনের অধিকাংশ এলাকার ওপরে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর চিয়াং-কাই-শেকের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদীরা রা গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েছিল। তারা উপলব্ধি করেছিল যে চীনের নিরাপত্তার জন্য মাঞ্চুরিয়ার ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা একান্তরূপে দরকার। চীনের বর্ধিত জনগণের পুনর্বাসনের জন্যও মাঞ্চুরিয়ার ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি ছিল। তাই চীনের কাছে মাঞ্চুরিয়ার নিরাপত্তা রক্ষা করা অতি প্রয়োজনীয় বিষয় বলে মনে হয়েছিল। চীনের এই মনোভাবের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য জাপানের মাঞ্চুরিয়ার ওপর আগ্রাসী নীতি গ্রহণ ছাড়া উপায় ছিল না। চিয়াং-এর নেতৃত্বে চীন পুনরায় ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশের পূর্বেই জাপান মাঞ্চুরিয়ার ওপর তার আধিপত্য কায়েমের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
ইউরোপীয় শক্তিবর্গও মাঞ্চুরিয়া সম্পর্কে জাপানের আগ্রহের ব্যাপারে বিশেষভাবে সচেতন ছিল। কিন্তু চীনে একটি শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে তাদের স্বার্থ বিপন্ন হতে পারে এই আশঙ্কায় পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো মাঞ্চুরিয়াতে জাপানের আগ্রাসী সম্প্রসারণকে নীরবে সমর্থন করেছিল। এছাড়াও বলশেভিক বিপ্লবের পর চীনের উত্তরাঞ্চলে বলশেভিক প্রভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা তাদের মনোভাবকে প্রভাবিত করেছিল। জাপান এই অবস্থার সুযোগ নিয়েছিল।
অন্য পোস্ট: আফিমের যুদ্ধে লিন - সে - সুর ভূমিকা
জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণের পিছনে আর যেসব কারণ বিশেষভাবে দায়ী ছিল তার মধ্যে অন্যতম হল তার জনসংখ্যার আধিক্য। জাপানে দ্রুত শিল্পের বিকাশ হয়েছিল। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনসংখ্যাও বৃদ্ধি হয়েছিল। ১৯৩০ সালে জাপানের জনসংখ্যা ছিল ৭০ লক্ষ মিলিয়ন। জনসংখ্যা বাড়লেও জাপানে কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়েনি। স্বাভাবিক কারণে জাপানে বাসভূমির ও খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। বর্ধিত জংসংখ্যার কিছু অংশ অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদেশি রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিপ্রয়াণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। স্বাভাবিক কারণে জাপান তার বর্ধিত জনসংখ্যাকে নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই সমস্যা সমাধানের জন্য জাপান মাঞ্চুরিয়া দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কারণ জাপান ঐ অঞ্চলে তার বর্ধিত জনসংখ্যাকে করলে তার সমস্যা সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
অন্য পোস্ট : জাপানের 21 দফা দাবি
প্রেরণ বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার প্রভাব জাপানের অর্থনীতির ওপর পড়েছিল। ইতিপূর্বে জাপান অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক সস্তায় শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন করে রপ্তানি করত। এর ফলে কেবলমাত্র এশিয়ার বাজারে নয় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও জাপানি শিল্পজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েছিল। এতে পাশ্চা শিল্পপতিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। জাপানি পণ্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেদের পণ্যকে রক্ষা করার জন্য পাশ্চাত্য দেশগুলো জাপানি পণ্যের ওপর অনেক বাধা নিষেধ আরোপ করেছিল। চীনের বাজারও যাতে সম্পূর্ণরূপে জাপানিদের হাতে চলে না যায় সেজন্য ইংল্যান্ড, আমেরিকা চীনকে বাণিজ্য শুল্ক নির্ধারণের ব্যাপারে পূর্ণ অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল। এর ফলে চীনের বাজারেও জাপানি পণ্যের চাহিদা কমে গিয়েছিল। ১৯২৯ সালের আর্থিক মন্দার সময়ে অন্যান্য দেশে জাপানি পণ্যের বিশেষ করে জাপানি বস্ত্রের রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা অসুবিধা দেখা নিয়েছিল। জাপানের আর্থিক সমৃদ্ধি ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। জাপান আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হলে তার প্রভাব শিল্প-বাণিজ্যের ওপর পড়েছিল। উৎপাদনে মন্দার জন্য শিল্পের বিকাশ হয়নি। বহু শিল্প বন্ধ হয়েছিল। শিল্প সংকোচনের ফলে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে আর্থিক মন্দার কালে বেকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল তিন মিলিয়ন। শিল্প অর্থনীতির এই অবস্থা কৃষিব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলেছিল। কৃষিতেও সংকট এসেছিল। কৃষকদের আয়ের পরিমাণ কমে গিয়েছিল।
অর্থনীতির এই মন্দার কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জাপান সরকারের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। সরকার ব্যয় সংকোচের নীতি গ্রহণ করেছিল। সরকার কর্তৃক এই ব্যয় সংকোচের পরিকল্পনা গৃহীত হওয়ায় বহু ব্যক্তি আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছিল। জাপানের জঙ্গি সমরনায়করা এই অবস্থার সুযোগ নিতে এগিয়ে এসেছিল। ওয়াশিংটন সম্মেলনে ইংল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় জাপানের নৌশক্তি কম রাখার সিদ্ধান্তকে তারা মানতে পারেনি। কিন্তু সেই মুহূর্তে এই প্রস্তাবকে মানা ছাড়া অন্য কোনো পথ ছিল না। কিন্তু আর্থিক মন্দা জাপানের পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল। ১৯৩০ সালে লন্ডনে যে নৌ-নিরস্ত্রীকরণের সম্মেলন হয়েছিল তাতে জাপান রণতরী সীমিত করার ক্ষেত্রে রাজি হয়েছিল। জাপানি সমরনেতারা এ বিষয়কে মানতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী হামাগুচি বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন এবং এমনকি ১৯৩০ সালের নভেম্বর মাসে তিনি নিহত হয়েছিলেন। জাপানের রাজনীতিতে সমরনায়কদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারা আগ্রাসনের মাধ্যমে মাঞ্চুরিয়াকে দখল করতে চেয়েছিল। আর্থিক মন্দা তাদের সেই সব সুযোগ এনে দিয়েছিল।
মাঞ্চুরিয়ায় জাপানি আক্রমণ
অন্য পোস্ট : কমিউনিস্ট চীন কিভাবে ক্ষমতা দখল করে
জাপান কর্তৃক মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ হঠাৎ বা আকস্মিক কোনো ঘটনা ছিল না। এই আক্রমণ ছিল পরিকল্পিত। এই আক্রমণের পিছনে প্রত্যক্ষ কারণ ছিল রেলপথ বিস্ফোরণ সংক্রান্ত ঘটনা।
১৯৩১ সালের ১৮-১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যরাত্রে জাপান নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়ার রেলপথে এক বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এই বিস্ফোরণের জন্য প্রকৃত দায়ী কে সে নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে জাপানের মনে হয়েছিল এই ঘটনার জন্য চীনা সেনারাই দায়ী। এই বিস্ফোরণকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করে আত্মরক্ষার অজুহাতে এবং রেলপথের নিরাপত্তার কারণে জাপান পুলিশী ব্যবস্থা গ্রহণের নামে এক অভিযান শুরু করেছিল এবং তারা অল্পদিনের মধ্যে মাঞ্চুরিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও শহর দখল করে নিয়েছিল। মাঞ্চুরিয়াতে সে সময়ে চীনা সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন চ্যাঙ-শু-ইয়াং। তাঁর সৈন্যসংখ্যা ছিল দেড় লক্ষের মতো। মাঞ্চুরিয়াতে জাপানি আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য এই সেনাবাহিনী যথেষ্ট নয় বিবেচনা করে এবং চীনা কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এক বড়ো অংশ লিপ্ত থাকায় চিয়াং কাই শেক জাপানি আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা না করে এই সেনাবাহিনীকে সুশৃঙ্খলভাবে ধীরে ধীরে পিছু হঠার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর ফলে জাপান প্রায় বিনা বাধায় মাঞ্চুরিয়ার এক বড়ো অংশ দখল করে নিয়েছিল।
অন্য পোস্ট: টাইপিং এবং বক্সের বিদ্রোহের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা
মাঞ্চুরিয়া অভিযান শুরু করার আগে জাপান বিশ্ববাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিল যে, মাঞ্চুরিয়া দখল করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। প্রকৃতপক্ষে জাপানের মন্ত্রীসভা তখন মাঞ্চুরিয়াতে কোনো বড়ো যুদ্ধে লিপ্ত হতে রাজি ছিল না। কিন্তু জাপানি সমরনায়কেরা সে দেশের বেসামরিক রাষ্ট্র নায়কদের নির্দেশ উপেক্ষা করে মাঞ্চুরিয়াতে অভিযান চালিয়েছিল। বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছিল যে জাপানি সমর বিভাগের ওপর সেখানকার বেসামরিক নেতাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
মাঞ্চুরিয়া অভিযানের জন্য যেসব সমরনায়করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁরা হলেন ইসিওয়ারা, নাগাটা, ইতাগাকি, ইমামুরা প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় সেনাপতি। জাপান ১৯৩২ সালে সমগ্র মাঞ্চুরিয়া দখল করেছিল। জাপান ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ মাঞ্চুরিয়াতে “মাঞ্চকুয়ো” নামে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের পত্তন করেছিল। এই রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে কার্যভার গ্রহণ করেন চীনের শেষ মাঞ্চু সম্রাট পু-ই। মাকুয়ো নামেই স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। আসলে মাঞ্চুকুয়ো ছিল জাপানের তাঁবেদার রাষ্ট্র। মাকুয়োর আয়তনকে বৃদ্ধি করার জন্য জাপান অন্তর্মঙ্গোলিয়ার জেহল অঞ্চল দখল করেছিল। জাপানিরা চীনা প্রাচীরের দক্ষিণেও অভিযান চালিয়েছিল। চীনারা টাংকু যুদ্ধ বিরতিতে সই করতে (১৯৩৩ সালের মার্চ মাসে) বাধ্য হয়েছিল।
অন্য পোস্ট : টকুগোওয়াসোগুন তন্ত্র
0 Comments
If you like the posts, you must comment. and if there is any problem , please let me know in the comments.